ছোটবেলার ছড়া ও কবিতা নিয়ে আমাদের ছড়ার ধাঁধা এর ধারাবাহিক পর্বে আজকেও রয়েছে ৫টি চমৎকার ও মজার ধাঁধা। এবারও আপনাদের জন্য থাকছে চিত্র শেষে উত্তর। কিন্তু আগে নিজেই চেষ্টা করি চলুন। তবে দেরি না করে শুরু করা যাক-
কবি আহসান হাবীবের হাটে যাবো কবিতাটি আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে। মাঝি ছোট্ট শিশুটিকে কী বলেছিল?-চলুন মনে করি ও উত্তর দেই।

সোনামুখে সোনা হাসি
তার কিছু দিও।
হাসিটুকু নিও
আর খুশিটুকু নিও।
হ্যাঁ, শূন্যস্থানে হবে ‘খুশিটুকু’।
দ্বিতীয় ধাঁধাতে হয়েছে দুটি শূন্যস্থান। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত ‘খোকার সাধ’ কবিতাটি খুবই জনপ্রিয় একটি কবিতা। সম্পূর্ণ কবিতাটি চলুন পড়ে আসি আরও একবার।

আমি হবো সকাল বেলার পাখি
সবার আগে কুসুম-বাগে উঠবো আমি জাগি।
সূয্যি মামা জাগার আগে উঠবো আমি জেগে,
‘হয়নি সকাল, ঘুমো এখন’- মা বলবেন রেগে।
বলবো আম, ‘আলসে মেয়ে ঘুমিয়ে তুমি থাকো,
হয়নি সকাল- তাই বলে কি সকাল হবে নাকো!
আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?
তোমার ছেলে উঠলেগো মা রাত পোহাবে তবে!’
পরবর্তী ছড়াটিও আমাদের সকলের পরিচিত। কবি বন্দে আলী মিঞার ‘আমাদের গ্রাম’ ছড়া-কবিতাটি তাহলে চলুন দেরি না করে আরেকবার মনে করে নেয়া যাক-

আমাদের ছোট গ্রাম
মায়ের সমান,
আলো দিয়ে বায়ু দিয়ে
বাঁচাইছে প্রাণ।
বাক বাকুম পায়রার কথা তো আমরা মনে হয় মুখের বুলি আসার পর থেকেই জানি! তাই না! তো তাহলে বলেই ফেলুন বাক বাকুম পায়রা সোনার কীসে চড়বে?

আশা করি ধরে ফেলেছেন। জ্বি, ছড়াটি এমন-
বাক বাকুম পায়রা
মাথায় দিয়ে টায়রা
বউ সাজবে কাল কি?
চড়বে সোনার পালকি?
চলে এলাম আজকের শেষ ছড়ায়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বীরপুরুষ কবিতা থেকে একটি অংশ তুলে ধরা হলো ধাঁধা হিসেবে। চলুন পড়ে আসা যাক-

তুমি যাচ্ছ পালকিতে পা চড়ে
দরজা দুটো একটুকু ফাঁক করে,
তো এই ছিল আজকের আয়োজনে। এমন আরও অনেক অনেক ধাঁধা পেতে থাকুন আমাদের সাথেই।