বরাবরের মতোই এবারও আমরা বাংলা ছড়ার ধাঁধা নিয়ে চলে এলাম আপনাদের কাছে। আজকের পর্বে আমরা আরও ৫টি ধাঁধা নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা হয়ত অনেকেই জানেন আগের ধাঁধাগুলোয় যেসব ছড়া-কবিতা ব্যবহৃত হয়েছে, সবগুলো ১ম শ্রেণি থকে ৫ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের ভেতরেই রয়েছে। এবারের পর্বও তার ব্যাতিক্রম নয়। তাহলে বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি। আর হ্যাঁ, উত্তর কিন্তু বরাবরের মতো ছবির শেষেই পেয়ে যাবেন!
আমাদের প্রথম ধাঁধাটি কবি আবুল হোসেনের ঘুড়ি কবিতা থেকে। অনেকে আগেই পড়েছেন। যাঁরা পড়েননি, তাঁরা পড়ে নিতে পারেন এক নিঃশ্বাসে! আসুন মিলিয়ে নিই।

ঘুড়ি উড়িছে
হালকা বায়,
একটু বাড়িলে
টান সুতায়।
এবারের ধাঁধাটি আপনাদের সবার পরিচিত একটি ছোটবেলার ছড়া থেকে। ছড়ার নাম ‘হাট্টিমাটিম টিম’। কে না জানে এই ছড়া! জানেন তো? তাহলে দুটি শূন্যস্থানে কী বসবে বলেই ফেলুন।

গাঁয়ের মানুষ একসাথে সব;
সবাই ভয়ে হিম
ডিম ফেটে যা বের হল তা
হাট্টিমাটিম টিম।
হাট্টিমাটিম টিম-
তারা মাঠে পারে ডিম
তাদের খাড়া দুটো শিং
তারা হাট্টিমাটিম টিম।
পরবর্তী ধাঁধায় চলে এলাম। কবি সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমাদের এই বাংলাদেশ’ কবিতা থেকে আপনাদের বলতে হবে সূর্য ওঠার কোন দেশ আসলে আমাদের দেশ বাংলাদেশ। জানেন তো?

জ্বি, সূর্য ওঠার পূর্বদেশই হলো বাংলাদেশ। আশা করি সবাই পেরেছেন।
শেষের আগের ধাঁধায় রয়েছে বিখ্যাত কবি সুকুমার রায়ের বিখ্যাত ‘হনহন পনপন’ কবিতা। এই ছড়া-কবিতা থেকে বলতে হবে ফোঁড়া কেমন করে?- আসুন মিলিয়ে নিই-

চলে হনহন
ছোটে পনপন
ঘোরে বনবন
কাজে ঠনঠন
বায়ু শনশন
শীতে কনকন
কাশী খনখন
ফোঁড়া টনটন
মাছি ভনভন
থালা ঝনঝন।
সর্বশেষ ধাঁধায় রয়েছে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘মা’ কবিতাটি। বলতে হবে মায়ের কোলেতে কী করে আমাদের পরান জুড়ায়। আশা করি বুঝে গেছেন!

সঠিক উত্তর হলো ‘শুয়ে’। যাঁরা যাঁরা পেরেছেন, সবাইকে অভিনন্দন।
আশা করি, পরবর্তী ধাঁধাগুলো পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন সকলে।