বাংলাদেশের বৃহৎ অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 90 DEGREE Education এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনলাইনে বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করে দেশের একমাত্র গণিতের জন্য ‘ভেরিভাইড’ প্রতিষ্ঠান 90 DEGREE Education। এতে অংশগ্রহণ করে শতাধিক শিক্ষার্থী। এর ফলে প্রথমবারের মতো বৃত্তি পরীক্ষাকে অনলাইনে রূপ দিতে সক্ষম হলো এবার মুহাম্মদ মুহিব হাসান ও ডা. নাবিলা আদনানের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানটি।
করোনা পরিস্থিতিতে দেড় বছর সকল ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সুদূর জার্মানি থেকে পরিচালনা করে দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় কাজ করে যাচ্ছে 90 DEGREE Education। জনপ্রিয় অনলাইন ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মটি সবসময় শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন ও সেরা কিছু এনে দিতে চায় সমসময়। এরই ধারাবাহিকতায় এবার অভিনব এক ধারণাকে সামনে এনে কিছুদিন আগে নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে শিক্ষার্থীদের মাঝে জরিপ চালনা করে অনলাইনে বৃত্তি পরীক্ষা নেয়ার। সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর আগ্রহ ও লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ভালোবাসাকে তাই সাথে নিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জকে বরণ করে মুহাম্মদ মুহিব হাসান ও নাবিলা আদনান।
গত ১৫.১০.২০২১ তারিখে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হয় সম্পূর্ণ অনলাইনে zoom অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে। নেয়া হয় ছয়টি পরীক্ষা। এরপর গত ২৬.১১.২০২১ তারিখ নেয়া হয় চতুর্থ শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা। পরীক্ষাগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছিল ব্যাপক উচ্ছ্বাস ও আনন্দ। এই ধরণের পরীক্ষা সফলভাবে নিতে পেরে আনন্দিত 90 DEGREE Education এর প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক মুহাম্মদ মুহিব হাসান ও প্রধান নির্বাহী ডা. নাবিলা আদনান। পরীক্ষা শুরুর আগে ও পরে শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময়ও করেন তাঁরা।
৫ম শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পাঁচজনকে পুরস্কৃত করার পাশাপাশি ১ম স্থান অধিকারীর জন্য ঘোষণা করা হয় আকর্ষণীয় স্মার্টফোনের। এছাড়া চতুর্থ শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় বিজয়ীদের জন্য রাখা হয়েছে ১০০০০ টাকার পুরস্কার। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে এবং অনলাইন শিক্ষায় আগ্রহী করে তুলতে স্মার্টফোন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান দুইজন। তারা যৌথ বিবৃতিতে আরও বলেন-
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যাতে গুণগত ও সেরা শিক্ষাটা সবসময় পায় এবং যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে থেকেও গুণগত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষা সবার মৌলিক অধিকার। আর এই অধিকারকে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে দিতে।