বাস্তব সংখ্যা ও এর শ্রেণি বিন্যাস সম্পর্কে আমরা আগের পোস্টে জেনেছি। আমরা এও জেনেছি যে, মৌলিক সংখ্যা স্বাভাবিক সংখ্যার অন্তর্ভুক্ত। আজ আমরা আরও একটু বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।
মৌলিক সংখ্যা কাকে বলে প্রথমে একটু জানার চেষ্টা করি। আধুনিক সংজ্ঞামতে, ১ থেকে বৃহৎ যেসকল ধনাত্মক সংখ্যাকে ১ ও সে সংখ্যা ছাড়া অন্য কোনো সংখ্যা দ্বারা নিঃশেষে ভাগ করা যায় না, তাদেরকে মৌলিক সংখ্যা বলে। অন্যদিকে, যেসব সংখ্যা মৌলিক নয় সেগুলো যৌগিক সংখ্যা। কিন্তু ‘০’ মৌলিকও নয়, আবার যৌগিকও নয়!!!
মৌলিক সংখ্যার আবিষ্কার- মৌলিক সংখ্যার আসল আবিষ্কারক কে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু সর্ব প্রথম ধারণা পাওয়া যায় খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০ সালে ইউক্লিডের ‘The Elements’ এর নবম বইতে।
মৌলিক সংখ্যা শুরু হয় ২ থেকে, কিন্তু মৌলিক সংখ্যার শেষ কোথায় কেউ জানেনা! মজার ব্যাপার হলো দুই একমাত্র জোড় মৌলিক সংখ্যা। অর্থাৎ ২ ভিন্ন সকল মৌলিক সংখ্যা-ই বিজোড়। আরও মজার ব্যাপার হলো ৫ হচ্ছে একমাত্র মৌলিক সংখ্যা যার শেষে ৫ রয়েছে। অন্য কোনো মৌলিক সংখ্যার শেষে ৫ নেই।
সর্বশেষ আবিষ্কৃত মৌলিক সংখ্যাটি ২৪, ৮৬২, ০৪৮ অঙ্কবিশিষ্ট!! আর সংখ্যাটি হচ্ছে – ২ ^ (২৮২৫৮৯৯৩৩) – ১ !! এটি আবিষ্কার করেন প্যাট্রিক লারোখে ৭ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে।
এখন আসা যাক ১ কেন মৌলিক সংখ্যা নয়? প্রথম দিকে এক-কে মৌলিক সংখ্যা বিবেচনা করত। কিন্তু এর ফলে মৌলিক উপপাদ্য থেকে শুরু করে অনেক কিছুর পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ত বিধায় ‘১’-কে মৌলিক সংখ্যা থেকে বাদ দেয়া হয়।
মৌলিক সংখ্যা বের কীভাবে বের করা যায়?- এজন্য আমরা ইরাটোস্থিনিসের একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। যার নিয়ম হলো ১-১০০ এর মধ্যে ১ ছাড়া ২, ৩, ৫, ও ৭ এর গুণিতকগুলো বাদ দিলেই মৌলিক সংখ্যা গুলো পাওয়া যাবে। এছাড়া প্রতি দশ ঘরে কতটি করে মৌলিক সংখ্যা ১-১০০ এর মধ্যে রয়েছে তার জন্য একটি সনহখ্যা মনে রাখা যায়। তা হলো- ৪৪২২৩২২৩২১।