ছড়ার ধাঁধা নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম আবারও। গত পর্বের মতো আজকেও মোট পাঁচটি ছড়ার ধাঁধা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছ। ছবিতে রয়েছে ধাঁধা। আর প্রতিটি ছবির নিচেই দেয়া আছে উত্তর। উত্তর না দেখে চেষ্টা করব নিজেরা উত্তর দেয়ার ও মনে করার। তৈরি তো?
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছুটি কবিতা কার না মনে আছে! মেঘের কোলে রোদ হাসলে কী যেন টুটে যায়? মনে করে ফেলুন চটজলদি আর উত্তর মিলিয়ে নিন নিচ থেকে-
সঠিক উত্তর বাদল। বাদল অর্থ আমরা সবাই জানি মেঘ। অর্থাৎ, রোদ হাসলেই মেঘ পালায়।
আমাদের দ্বিতীয় ধাঁধাটিও চমৎকার একটি ধাঁধা। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভোর হলো কবিতাটি আমাদের কম বেশি সবারই মনে আছে। তাইনা?-।
ভোর হলো দোর খোল
খুকুমণি ওঠ রে!
ঐ ডাকে জুঁই-শাখে
ফুল-খুকি ছোট রে!…
সম্পূর্ণ কবিতা আশা করি এতক্ষণে মেলানো হয়ে গেছে। জ্বি, সঠিক উত্তর কিন্তু চাঁদ নয়, চাঁদা ভাই। যাঁরা পেরেছেন, অভিনন্দন আপনাদের।
এরপরের দছড়ার ধাঁধাটি ছোতবেলার মজার ছড়া। কবি সুফিয়া কামালের আবোল-তাবোল ছড়াটি যাঁদের মনে আছে তাঁরা একটু মনে করে দেখেন তো বিষ্টি পড়লে কী ভাঙে-
ইতল বিতল গাছের পাতা
গাছের তলায় ব্যাঙের ছাতা
বিষ্টি পড়ে ভাঙে ছাতা
ডোবায় ডুবে ব্যাঙের মাথ।
জ্বি, বিষ্টি পড়লে ছাতা ভাঙে।
কবি আ.ন.ম. বজলুর রশিদের আমাদের দেশ কবিতাটি মনে আছে কি?- মনে থাকলে এর একটি অংশ আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো। বলেই ফেলুন উত্তর কী হবে। অংশটা এমন যে-
মাঠে মাঠে চরে গরু
নদী বয়ে যায়
জেলে ভাই মাছ ধরে
মেঘের ছায়ায়।
আজকের সর্বশেষ ধাঁধায় চলে এলাম। কবি সুফিয়া কামালের বিখ্যাত প্রার্থনা কবিতাটি তুলে ধরা হয়েছে এখানে-কবি এখানে আল্লাহর প্রশংসা জ্ঞাপন করেছেন। তাই তিনি বলেছেন-
তুলি দুই হাত করি মুনাজাত
হে রহিম রহমান
কত সুন্দর করিয়া ধরণী
মোদের করেছ দান।
তো আজকের মতো শেষ করি। আরও এমন অনেক অনেক ধাঁধা পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।